।। মহাকাল নিউজ ডেস্ক ।।
থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ১৫ বছরের স্বেচ্ছানির্বাসনের পর আগামী ১০ আগস্ট নিজ দেশে ফিরবেন। আজ বুধবার তাঁর মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা এ তথ্য জানিয়েছেন।
৭৪ বছর বয়সী ধনকুবের থাকসিন থাইল্যান্ডের দুবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।
‘দুর্নীতির’ মামলায় কারাগারে যাওয়া এড়াতে ২০০৮ সালে থাকসিন দেশ ছাড়েন। তার পর থেকে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বসবাস করছেন।
স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকাকালে অনেক দিন ধরে থাইল্যান্ডে ফিরে আসার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন থাকসিন। থাইল্যান্ডে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলাকে তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করে আসছেন।
থাই সামরিক বাহিনীর সঙ্গে থাকসিনের তিক্ত সম্পর্কের ইতিহাস রয়েছে। আবার রাজতন্ত্রপন্থীদের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ভালো নয়।
থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন উত্তপ্ত। এর মধ্যে থাকসিন দেশে ফিরলে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এবার কি পিটা সফল হবেন
মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির তরুণ নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাত
আজ থাকসিনের জন্মদিন। এদিন মেয়ে পেতংতার্ন তাঁর ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, তাঁর বাবা ১০ আগস্ট দেশে ফিরছেন। বিষয়টি তাঁর কাছে অবিশ্বাস্য লাগছে। থাকসিনের এই সিদ্ধান্তে তাঁরা যেমন খুব আনন্দিত, তেমনি উদ্বিগ্নও। তবে বাবার সিদ্ধান্তের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা রয়েছে।
গত ১৪ মে থাইল্যান্ডে পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনের দিন কয়েক আগে থাকসিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছিলেন, তিনি তাঁর জন্মদিনের আগে থাইল্যান্ডে ফিরবেন। তাঁর বয়স হয়েছে। এখন তিনি থাইল্যান্ডে ফিরে নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সময় কাটাতে চান।
আরও পড়ুন
পিটার পার্লামেন্টের সদস্যপদের ওপর অস্থায়ী স্থগিতাদেশ
মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির (এমএফপি) নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাত
দুর্নীতির মামলায় থাকসিনের অনুপস্থিতিতে বিচারে ২০০৮ সালে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে আরও মামলা হয়। গত মে মাসে থাকসিন বলেছিলেন, তিনি দেশে ফিরে আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত।
মে মাসের পার্লামেন্ট নির্বাচনে থাকসিনের মেয়ে পেতংতার্নের দল ফেউ থাই দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। নির্বাচনে সবচেয়ে ভালো করেছে পিটা লিমজারোয়েনরাতের মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি (এমএফপি)।
আপনার মতামত লিখুন :