যাপিতজীবন

ইউপি চেয়ারম্যানের মায়ের বসবাস বাকেরগঞ্জের ‘বীর নিবাস’!

Story Highlights
  • Knowledge is power
  • The Future Of Possible
  • Hibs and Ross County fans on final
  • Tip of the day: That man again
  • Hibs and Ross County fans on final
  • Spieth in danger of missing cut

।।জিয়াউল হক, (বাকেরগঞ্জ) বরিশাল।।

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধারা ‘বীর নিবাস’ এর বরাদ্দের ঘর পাননি অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলে অভিযোগ অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের।
তারা বলেন, যাদের বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের কারও কারও একাধিক বাড়ি রয়েছে। আবার নিজেরা ও তাঁদের সন্তানেরাও সচ্ছল। অথচ দিনমজুরি করেন, জরাজীর্ণ ঘরে থাকেন এমন বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাড়ি বরাদ্দ পাননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রথম ধাপে ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা বীর নিবাসের ঘর পেয়েছেন ও দ্বিতীয় ধাপে ৯২ জন মুক্তিযোদ্ধা ঘর পেয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপের ‘বীর নিবাস’ ঘরগুলো এখন পর্যন্ত উদ্বোধন হয়নি।
এই সুবিধাভোগী প্রকল্পের বাছাই কমিটির সভাপতি ইউএনও। কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্বাচিত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা। অথচ, পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের রুহিতারপাড় বীর নিবাস ঘরে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন কলসকাঠী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মৃত আ: রাজ্জাক তালুকদারের দ্বিতীয় স্ত্রী সাহিদা আক্তার। কলসকাঠী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ফয়সাল ওয়াহেদ মুন্না তালুকদারের সৎ মা সাহিদা বেগম। সাবেক চেয়ারম্যানের স্ত্রী ও বর্তমান চেয়ারম্যানের মা হয়েও স্থান পেয়েছেন বীর নিবাস এর ঘরে। সাহিদা বেগমের বাবা কলসকাঠী ইউনিয়নের নারঙ্গল গ্রামের মৃত এস এম মিজানুর রহমান একজন সচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা এস এম মিজানুর রহমানের বাড়ি ঘরসহ অঢেল সম্পদ থাকার পরেও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বরাদ্দের ঘর পেয়েছেন তার মেয়ে সাহিদা বেগম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যে সকল মুক্তিযোদ্ধারা বাদ পড়েছেন, তাঁরাই বেশি অসচ্ছল। রঙ্গশী ইউনিয়নের ইনছান আলী মাস্টার, ইনছান আলী খান, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি বঙ্গবন্ধুর জেলসঙ্গী বীর মুক্তিযোদ্ধা দলিল উদ্দিনসহ একাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবার এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
৭ মার্চ কথা হয় রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা ইনছান আলী খানের সাথে তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাবা টাকা ছাড়া বীর নিবাসের ঘর মেলেনি তাই অনেকেই আমরা ঘর পাইনি। ৮৭ বছর বয়সে জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও এখনো ভ্যান গাড়িতে বই বিক্রি করি। আমার গ্রামে বোতরা বাজারে একটা দোকান ঘর নির্মাণের জন্য জমি চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে গেলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন তাও এই দুই বছর এখন পর্যন্ত একটু দোকান ঘর নির্মাণের জমি পাইনি।
এছাড়াও রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধুর জেল সঙ্গী আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি দলিল উদ্দিন এর বড় ছেলে অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা ও মা দুজনই চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। বাবা মারা গেছেন অনেক আগেই। গত দুই বছর যাবত মা বিছানায় পড়েছিল। আমাদের মাথা বোঝার ঠাঁই নেই। মায়ের ঠিক মত চিকিৎসা করাতে না পেরে তিনিও গত বছর মারা গেছেন। দুই বছর আগেই তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবী রায় আশ্বাস দিয়েছিলেন বীর নিবাসের ঘর দিবেন। কিন্তু অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় থাকলেও ঘর আর মেলেনি।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, আমি বাকেরগঞ্জ উপজেলায় এসেছি কয়েক মাস হল। এই ঘরগুলো আগেই বরাদ্দ হয়েছে। নতুন করে যদি মুক্তিযোদ্ধাদের বরাদ্দ আসে ঘরের অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝেই দেয়া হবে।

 

Related Articles

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button