।। নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থীর কারণে নৌকার কান্ডারি মেজর জেনারেল (অবঃ) আলহাজ্ব আবদুল হাফিজ মল্লিক অনেকটা ব্যাকফুটে রয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী বেগম নাসরিন জাহান রতনা কে এই আসনে ছাড় দেয়া হচ্ছে কি-না? এই আশঙ্কায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রয়েছেন অনিশ্চয়তায়। এই আসনে নৌকা প্রতীক পাওয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দুজনই আওয়ামী লীগের। এতে ‘শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থায়’ পড়েছেন অধিকাংশরা। এঅবস্থায় শীর্ষসারির অনেক নেতাকর্মি এবং দলীয় সমর্থকরা প্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী মাঠ। কেউ কেউ গোপনে উভয় প্রার্থীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন।
বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মুলত লড়াই হবে ত্রিমুখী। নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগদলীয় প্রার্থী মেজর জেনারেল (অবঃ) আলহাজ্ব আবদুল হাফিজ মল্লিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং নির্বাচন কেন্দ্র করে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দেয়া আলহাজ্ব মোঃ শামসুল আলম চুন্নু এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বেগম নাসরিন জাহান রতনা কে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। উল্লেখিত এই তিন প্রার্থীর প্রভাব এবং জনপ্রিয়তার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন প্লাটফর্ম রয়েছে। তিনজনই ভোটের মাঠে জনপ্রিয়। কিন্তু দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর ভোটের মাঠের অভিজ্ঞতা এবং জনপ্রিয়তায় বিপাকে পড়েছেন নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগদলীয় প্রার্থী মেজর জেনারেল (অবঃ) আলহাজ্ব আবদুল হাফিজ মল্লিক। নীতি-নৈতিকতা ও সততার বিচারে তিনি এগিয়ে থাকলেও নিজদলীয় নেতাকর্মিদের কাছে টানতে না পারায় নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে দেখা দিয়েছে কচ্ছপগতি। প্রচার-প্রচারণা থেকে শুরু করে ভোটগ্রহনের দিন পর্যন্ত নিবাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাংগঠনিক সমঝোতা না থাকায় শঙ্কার পড়েছে নৌকা প্রতীকের ভবিষ্যৎ।
আওয়ামী লীগদলীয় প্রার্থী মেজর জেনারেল (অবঃ) আলহাজ্ব আবদুল হাফিজ মল্লিকের ব্যক্তিগত ক্লিনইমেজ ছাড়াও নৌকা প্রতীকের জনপ্রিয়তা পুরোপুরি কাজে লাগনোর ক্ষেত্রে গলারকাটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন আলহাজ্ব মোঃ শামসুল আলম চুন্নু। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন ছাড়া বিভিন্নভাবে তিনি এই আসনের গণমানুষের মনের সাথে মিশে গেছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে থাকলেও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না– কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এমন সিদ্ধান্তে খুব সহজে সবচেয়ে কাছের মানুষ, প্রিয়নেতা আলহাজ্ব মোঃ শামসুল আলম চুন্নু’র পক্ষে আঁটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছেন উপজেলার অধিকাংশ নেতাকর্মি। অপরদিকে এই আসনটি আবারও ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে নির্বাচনী মাঠ কাঁপাচ্ছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী বেগম নাসরিন জাহান রতনা। সুধীমহল সহ রাজনীতি সংশ্লিষ্ট বেশিরভাগ মানুষ মনে করছেন, আওয়ামী লীগদলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী নৌকার জন্য হুমকি। এছাড়া ত্রিমুখী লড়াইয়ে ভোট ৩ ভাগ হলে নৌকার পতন অনেকটা নিশ্চিত হবে বলে জানান উপজেলার শীর্ষসারির নেতাকর্মীরা।
আপনার মতামত লিখুন :