রাত পোহালেই ভোট ।। ত্রিরত্নের দাপটে নৌকার ত্রাহিদশা!
admin
প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৬, ২০২৪, ৬:৩৯ অপরাহ্ন /
০
রাত পোহালেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, স্বতন্ত্রসহ মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ মল্লিক, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের নাসরিন জাহান রতনা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মোহাম্মদ শামসুল আলম কে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার শুরু থেকে এই তিন হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছিলো। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পাল্টে গেছে এই আসনের নির্বাচনী হালচাল। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে ব্যাপক জনসর্থনের আভাস পাওয়া গেলেও বর্তমান পরিস্থিতি ভিন্নদিকে মোড় নিয়েছে। নৌকা এবং লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীকে পিছনে ফেলে ভোটের হিসাবনিকাশে এগিয়ে গেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মোহাম্মদ শামসুল আলম চুন্নু। সরেজমিনে এই আসনের সাধারণ ভোটারদের সাথে বিভিন্ন আলাপচারিতায় উঠে এসেছে নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের পরিস্থিতি।
সূত্রানুযায়ি, ত্রিরত্নের দাপটে ত্রাহিদশায় পড়েছেন নৌকা প্রতীকের আবদুল হাফিজ মল্লিক! এছাড়া আওয়ামী লীগের ঘাড়ে ভর করে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির নাসরিন জাহান রতনা। অতীতে অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা এবারের ভোটে পিছিয়ে দিয়েছে তাকে এমনটাই মনে করছেন অধিকাংশ ভোটাররা। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মোহাম্মদ শামসুল আলম চুন্নু’র বিজয়ের পথ অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে- ‘রাজনৈতিক অঙ্গনে ত্রিরত্ন খ্যাত বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ শামসুল আলম চুন্নু, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. মিজানুর রহমান (মিজান) এবং প্রায় সর্বমহলে সাড়া জাগানো দুরদর্শী তুখোড় রাজনীতিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরমেয়র মো. লোকমান হোসেন ডাকুয়া’র অদম্য প্রচেষ্টায় দলের সকল শ্রেণিপেশার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ করে প্রিয় নেতার বিজয় নিশ্চিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।’ তার ডাকে সাড়া দিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং মহিলা লীগ ছাড়াও পৌর এলাকা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সকল শ্রেণির নেতাকর্মী এমনকি সাধারণ সমর্থকদের পর্যন্ত ইস্পাতকঠিন বন্ধনে ঐক্যবদ্ধ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে। নিজদলের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে জিয়নকাঠীর মতো যাদুর ছোঁয়ায় এধরণের অসাধ্যকে সাধ্য করা এই নেতার পক্ষেই সম্ভব বলে সর্বাঙ্গনে মুখেমুখে শোনা যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট প্রায় সকল সূত্র মনে করছেন- ‘বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনের ফলাফল পাল্টে দিতে নির্বাচনী কলাকৌশল শিল্পশৈলির মতো সাজিয়ে নিয়েছেন উল্লিখিত ত্রিরত্ম। এতে ধারণা করা হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মোহাম্মদ শামসুল আলম চুন্নু কে বিজয় হাতছানি দিচ্ছে।’
উল্লেখ্য, নিজদলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও উপজেলার ১৪ টির মধ্যে ১০টি ইউনিয়নের ১০ জন চেয়ারম্যান এবং প্রায় সকল ইউপি সদস্যরা স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মোহাম্মদ শামসুল আলম চুন্নু কে বিজয়ী করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। এ কারণেই ট্রাক মার্কার বিজয়বার্তা প্রকাশ্যে আলোচনায় এসেছে।
আপনার মতামত লিখুন :