তরমুজ চাষে স্বপ্ন বুনছেন বাকেরগঞ্জের চাষিরা; বেশি চাষ, বাম্পার ফলনের আশা কৃষকদের
।।জিয়াউল হক, (বাকেরগঞ্জ) বরিশাল।।
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের ভূমিগুলো বছরের পর বছর অনাবাদি ও পতিত থাকলেও গত বছর প্রথম তরমুজ চাষ করে লাভবান হয়েছিলেন কৃষকেরা। বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের বিগত বছরে ভালো ফল পাওয়ায় এ বছরও লাভের আশায় তরমুজ চাষ করে স্বপ্ন বুনছেন তরমুজ চাষিরা।
সড়ক ব্যবস্থার উন্নতি ও বাজারজাতকরণে সুবিধাজনক স্থান নির্ধারণ করে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা, আমতলী, কলাপাড়ার শতাধিক তরমুজ চাষিরা বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা,গারুড়িয়ার, ফরিদপুর, দুর্গাপাশা ইউনিয়নের নদীর চরাঞ্চলের জমি লিজ নিয়ে এই বছরে দ্বিতীয়বারের মতো বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ চাষ করে সাড়া ফেলেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চরাঞ্চলে যুগের পর যুগ অনাবাদি অবস্থায় থাকা জনমানবশূন্য বিস্তৃর্ণ ভূমি এখন তরমুজ চাষে সবুজে পরিণত হয়েছে।
উপজেলার ভরপাশা,গারুড়িয়ার, ফরিদপুর, দুর্গপাশ ইউনিয়নে চরাঞ্চলে যতদূর চোখ যাবে, দেখা মেলবে তরমুজের আবাদ। এই বছর স্থানীয় অনেক কৃষকেরাও তরমুজের চাষ করেছেন। পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের তরমুজ চাষী সেলিম হাওলাদার বলেন, আমি তুলাতলা নদীর চরে নগদ টাকায় জমি লিজ নিয়ে এই বছর প্রথম তরমুজ চাষ করেছি। এখন মাঠে ৪/৫ কেজি ওজনের তরমুজ রয়েছে। ১ মাসের মধ্যেই তরমুজ ক্ষেত থেকে উঠানো হবে। পাইকারদের মাধ্যমে এই তরমুজ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হাটবাজারে বিক্রয় করা হবে।
তরমুজ চাষিরা জানান, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের যাতায়াত সুবিধা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বাকেরগঞ্জের চরাঞ্চলে উৎপাদিত তরমুজ রমজান মাস সামনে রেখে বাজারজাত করনের চাহিদা বাড়বে। সড়ক ব্যবস্থার উন্নতির ফলে বাকেরগঞ্জ থেকে সংগৃহীত তরমুজ সহজেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাবে খুব সহজে। বাকেরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুনীতি সাহা জানান, এই বছর চরাঞ্চলে তরমুজের চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে উপজেলার প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। গত বছর ফলন ভালো হওয়ায় এই বছর আরো বেশি তরমুজ চাষাবাদ করেছে কৃষকের।