।।নিজস্ব প্রতিবেদক, বাকেরগঞ্জ।।
কেন্দ্রীয় যুবলীগ যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমানসহ বাকেরগঞ্জে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাতে পৌর এলাকার বাসীন্দা মোহাম্মাদ ফজলুর রহমান মোল্লা বাকেরগঞ্জ থানায় এ মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখিত অন্য আসামীরা হলেন- ‘বাকেরগঞ্জের রঙ্গশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা বশির উদ্দিন সিকদার, মো. হাবিবুর রহমান বাবুল বিশ্বাস, আনিসুর রহমান মিন্টু বিশ্বাস, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্যাদা, শামিম হাওলাদার, জয়ন্তি রানি সাহা, খলিলুর রহমান সজিব সহ আরও ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশাসহ উল্লেখিত আসামীরা আউলিয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে বাদীর নিকট ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা না দিলে বাদীকে আউলিয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া ও প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করিতে বাধা প্রদান করেন। পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যদের অপহরণ, গুম ও খুন করার হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় জীবনের কথা চিন্তা করে কেন্দ্রীয় যুবলীগ যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমানকে ১২ লাখ টাকা চাঁদা প্রদান করেন। বাকি চাঁদার টাকা দিতে অক্ষমতা প্রকাশ করায় আসামিরা তাকে মারধর করে। এক পর্যয় ২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর দুপুরে কেন্দ্রীয় যুবলীগ যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমানের চাপের মুখে উক্ত বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ ছাড়তে বাধ্য হন বাদী। তৎকালীন আওয়ামী লীগের দলীয় শক্তির দাপটে ভয়ে কেউ কোন প্রতিবাদ করতে সাহস করতেন না বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন বাদী।
মামলার বাদী মোহাম্মাদ ফজলুর রহমান মোল্লা জানান, আসামীরা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী এবং তাদের অসাধ্য কোন কাজ জগতে নাই। তাই প্রাণের ভয়ে বিগত দিনে বিবাদীদের বিরুদ্ধে মামলা করার সাহস পাইনি। ছাত্র জনতার আন্দোলনের ফলে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হইলে বাংলাদেশ দূর্ণীতিমুক্ত হয়েছে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেই প্রত্যাশায় থানায় অভিযোগ করি।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোস্তাফা জানান, মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।