বহুমাত্রিক প্রতিভাবান তারুণ্যের কবি এসএম পলাস এর শুভ জন্মদিন


admin প্রকাশের সময় : মে ৬, ২০২৫, ৩:৫০ অপরাহ্ন /
বহুমাত্রিক প্রতিভাবান তারুণ্যের কবি এসএম পলাস এর শুভ জন্মদিন

।।স্টাফ রিপোর্টার, বাকেরগঞ্জ।।
কবি, গল্পকার, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, অভিনেতা, নাট্যকার, উপাস্থাপক সহ বহুগুণে গুণান্বিত এসএম পলাস এর শুভ জন্মদিন ৭ মে।

এস এম পলাস ৭ মে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের চরসমসদি বালিগ্রামে ঐতিহ্যবাহী সিকদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

তার শৈশব কৈশোর কেটেছে একই উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের বোয়ালিয়ায়।

শৈশব থেকেই ছবি আঁকায় ঝোক ছিলো তার। পাশাপাশি শিল্প -সাহিত্য সংস্কৃতিকে ভালোবাসেন জন্মাবধি।

শৈল্পিকতার প্রেমে পড়ে ১৯৯৭ সালে এসএসসি পরীক্ষার পরপরই ঘর ছাড়েন কৈশরের ডানপিটে এই কবি।
তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রতি অনাগ্রহী হয়ে জ্ঞানের সন্ধান করেছেন ভিন্ন ভাবে।

খেয়ালী কবি মানুষের যাপিত জীবনকে গভীর থেকে পরখ করে তা-ই আবার প্রকাশ করেছেন তার কর্মে মর্মে।

এস এম পলাস এর ছবি, কবিতা, গল্প, উপন্যাসে চিত্রিত হয়েছে প্রকৃতি সৌন্দর্য, সুবিধা বঞ্চিত শোষিত মানুষের আর্তনাদ। সমাজে ঘাপটি মেরে থাকা এবং মুখোশধারী অমানুষের চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন ব্যাঙ্গাত্মক ধারায়।
পাশাপাশি সৃষ্টি, স্রষ্টা রহস্য, নারী-পুরুষ এর প্রেম-বিরহ এবং জীবনের বাঁকে লুকিয়ে থাকা নানা অসঙ্গতি উঠে এসেছে তার নিপুণ শিল্পকর্ম ও তার সহজ এবং প্রাঞ্জল ভাষার লেখনিতে।
এস এম পলাস ২০০০ সাল থেকে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা, সাহিত্য সাময়িকী-তে লেখা শুর করেন। পরে দেশের প্রভাবশালী সংবাপত্রগুলোতে-ও ছাপা হতে শুরু করে তার লেখা।

প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই “ব্যথিত চোখের জল” প্রকাশ পায় ২০০৫ সালে ঢাকা বাংলা একাডেমির ২১ বই মেলায়, এরপরে ২০০৭ সালে সম্পাদিত কবিতা সংকলন “তুমি নিন্দিত নারী” তার পরে ২০১০ সালে প্রকাশ করেন গবেষণা গ্রন্থ “বাকেরগঞ্জের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস পরিচিতি” এভাবে লেখালেখির একযুগ পাড় করে ২০১২ সালে “রক্তচোষা” উপন্যাস লিখে সারা দেশে আলোচনায় আসেন, এই বইটি তাকে দেশের সাহিত্য ও পাঠক মহলে পরিচিত করে তোলে।

এস এম পলাস এর প্রকাশিত কবিতা প্রায় ৫০০০ এর বেশি।
২০০৭ সালে তিনি সম্পাদনা করেন “মাসিক গ্রামীণ কন্ঠ ” সমসাময়িক সময়ে তিনি “প্রিয়পত্র” নামে একটি ম্যাগাজিনও সম্পাদনা করেন।

এস এম পলাস ২০০১ সালে প্রথম মঞ্চে অভিনয় শুরু করেন পাশাপাশি মঞ্চ উপাস্থাপন।

২০০৩ সাল থেকে ঢাকায় মিরপুরে একটি এ্যাডভারটাইজিং ফার্মে ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে ২০০৭ সালে প্রবেশ করেন ফ্যাশন ডিজাইনে। এসময় তিনি ঢাকার নামি-দামি ফ্যাশন হাউজগুলোর অসংখ্য মনকাড়া ডিজাইন করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। ওই সময় কমার্শিয়াল ছবি পেইন্টিং করে দেশব্যাপী প্রসংশা কুড়িয়েছেন তিনি।

অসুস্থতার কারণে ২০০৯ সালে চলে আসেন গ্রামে। সেখানে কম্পিউটার গ্রাফিক্স ডিজাইন এর পাশাপাশি ব্যবসা শুর করেন।

সাংবাদিকতায় পথচলা ২০০৪ সাল থেকে, বরিশালের একটি স্থানীয় দৈনিক সহ জাতীয় পত্রিকায় মুক্ত সাংবাদিকতা করতেন। পরে ২০০৭ সাল থেকে পেশায় বেশি সময় দেন।
২০১৫ সালে 71Newstv এর মাধ্যমে ডিজিটাল সাংবাদিকতায় প্রবেশ করেন। ১৭ সাল বাকেরগঞ্জে প্রথম টিভি সাংবাদিক হিসেবে যোগদেন জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন “বাংলা টিভি’তে। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত করেন অনলাইন ভিত্তিক লাইভ সম্প্রচার রূপসী টিভি।

যা বর্তমানে দেশের একমাত্র ডিজিটাল প্লাটফর্ম।
এছাড়াও তিনি ” ঢাকা সংবাদ” এর প্রকাশক ও সম্পাদক।
এস এম পলাস একজন দক্ষ সংগঠক, ২০০৫ সালে তিনি নিজ এলাকায় লাইফওয়ে বাংলাদেশ নামে একটি গ্রাম উন্নয়ন সংস্থ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে বিভিন্ন সামাজিক ,সাংস্কৃতি সংগঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।

জীবনের বেশি সময় সংগীতের সাথে থাকলেও গান গাওয়া হয়ে ওঠেনি তবে শখের বসে গান লিখেছেন আর তাতে কন্ঠ দিয়েছে বাংলার বিখ্যাত শিল্পী মনি কিশোর, মোট তিন টি গানের দুটিতে কন্ঠ দিয়েছেন মনি কিশোর অপরটি গেয়েছেন বাউল মামুন সরকার।

সর্বশেষ তিনি আবার তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় কবিতা বলে, তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল, তার কবিতায় উঠে এসছে ৯০ দশকের ফেলে আশা শৈশব ও হারোনা সোঁনালী দিনের কথা।

ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তিতে রয়েছে তার বহুমুখী অভিজ্ঞতা। ওয়েব ডেভেলপার, গ্রাফিক্স ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং, এসইও, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, ও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে দারুণভাবে দক্ষ তিনি।

এছাড়াও তার রচিত ও অভিনীত শিক্ষণীয় এবং হাসির নাটকগুলো খুবই দর্শকপ্রিয়।

সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন ২০০৫ সাল থেকে। এখন পর্যন্ত কয়েক শতাধিক অসহায় সুবিধা বঞ্চিত মানুষের চিকিৎসা, বাসস্থান সহ নানা রকম সহযোগিতা করেছেন। এভাবেই মানুষের সেবা দিয়ে জীবন পারি দিতে বদ্ধপরিকর এই মহৎ মানুষটি।

ব্যক্তি জীবনে পিতা মোঃ রফিকুল ইসলাম সিকদার, মাতা রাহিমা বেগম এবং চার ভাই বোনের মধ্যে তিনি ২য়। বিবাহিত জীবনে স্ত্রী সাহিদা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এবং ২ ছেলের জনক। সব মিলিয়ে তার জীবন সুখ সমৃদ্ধিতে জড়ানো।

প্রগতিবাদী সৃষ্টিশীল উচ্চমননের এই মানুষটি প্রতিনিয়ত সৃজন করে চলছেন। জন্মদিনে সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন তিনি।