বাকেরগঞ্জের কলসকাঠীতে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু; ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার
admin
প্রকাশের সময় : মে ৯, ২০২৫, ৫:২৩ পূর্বাহ্ন /
০
।।স্টাফ রিপোর্টার, বাকেরগঞ্জ।।
বরিশাল বাকেরগঞ্জের উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের বাগদিয়া গ্রামের পরিত্যক্ত একটি বাড়ি থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ।
বৃহস্পতিবার (৮মে) নিহতের পরিবারের খবরের ভিক্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে বেলা দুপুর ২ টায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতের বড় ভাই রাকিব খান জানা,ন আমার ভাই গতকাল দুপুরে বাসা থেকে বের হয়েছে, তারপর আর বাসায় ফেরেনি। আমরা গতকাল রাতে ও খুঁজে পাইনি। আজ দুপুরে আমাদের গ্রামের আলহিকমাহ নামক স্থানে জাকিরের পরিত্যক্ত বাড়িতে আমার ভাইয়ের গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেই।
পরে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
রাকিব আরও জানায়, আমাদের সাথে ব্যাবসা সংক্রান্ত বিষয় দীর্ঘদিন ধরে ইউনুস খান ও তার ছেলে হাফেজ খান গংদের সাথে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব চলে আসছে। আমাদের এই দ্বন্দ্বের কারণে তারাই আমার ভাইকে হত্যা করেছে।
নাম প্রকাশ না শর্তে এক প্রতিবেশী জানায়, জামালকে আমি যতটুকু জানি এবং চিনি তাতে বোঝা যায়, সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার করার মতো ছেলে না।
এই রিপোর্ট লেখার মধ্যে প্রতিবেদকের হাতে একটি অডিও ভয়েস চলে আসে। অডিও ভয়েসে শুনতে পাওয়া যায় ইউনুস খান নামক এক ব্যক্তি অপরপ্রান্তে থাকা লোকটাকে বলতে শুনা যায় প্রয়োজনে ওদের হাত পা ভেঙে দিবো। ২/৪ টি খুন করবো, তার পরেও ওদের ভাগের একটি টাকাও দিব না, মামলা হলে হবে। ওরকম এসপি আইজির দাদার দাদা থাকে আমার পকেটে, আমার নাম ইউনুস খা। ভয়েস রেকর্ডে আর অনেকের নাম শুনতে পাওয়া যায়।
অডিও ভয়েস রেকর্ড পাওয়ার পরে বাগদিয়া গ্রামে অনুসন্ধানকালে আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসে।
বাগদিয়া গ্রামের এক ব্যাক্তি জানান, ইউনুস খানের নেতৃত্বে হাফেজ খান, রাকিব খান, শাহিন খান, এনায়েত খান, সেলিম মেম্বার ও তেল নাসির নামক ব্যক্তিরা মিলে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে। তাদের ব্যবসা রাতের আধারে ভেকু, পন্টুন দিয়ে সরকারি খাস জমির মাটি অবৈধভাবে কেটে ব্রিকফিল্ডে বিক্রি করা। এই সিন্ডিকেট মাদক ব্যবসাও পরিচালনা করে।
অবৈধ ব্যাবসার টাকার ভাগাভাগি নিয়ে তাদের মধ্যে চরম বিবাদের সৃষ্টি হয়।
বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম বলেন, এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তিনি আরো জানান, আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি। সবদিক বিবেচনায় নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :