বরিশাল

বাকেরগঞ্জের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহিদ মিনার 

।।এম এইচ কামাল ।।

বরিশাল বিভাগের সর্ববৃহৎ উপজেলা বাকেরগঞ্জ। ১৪ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে এই উপজেলা গঠিত হয়েছে। এই উপজেলার ৩৬৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নেই। উপজেলায় ২৮৯ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও মাত্র ১৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার রয়েছে। বাকি ২৭৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই শহিদ মিনার।

এছাড়াও ৮৪ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকলেও শহিদ মিনার রয়েছে ৫৬ টি বাকি ২৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শহীদ মিনার নেই। এছাড়াও এই উপজেলায় ২৪ টি কলেজ থাকলেও ১৬ টি কলেজে শহিদ মিনার রয়েছে বাকি ৮ টি কলেজে নেই শহিদ মিনার। উপজেলায় ৬৩ টি মাদ্রাসা থাকলেও মাত্র ৮ টি মাদ্রাসায় রয়েছে শহিদ মিনার বাকি ৫৫ টি মাদ্রাসা শহিদ মিনার নেই।

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়ের আন্দোলন। যার মধ্য দিয়ে এসেছে মায়ের ভাষার স্বীকৃতি। মহান ভাষা আন্দোলনের শহিদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণের আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই নির্দেশনা দিয়েছিলো মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরও (মাউশি)। এরপরও শহিদ মিনার নেই বাকেরগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

ফলে ভাষাশহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা, জানছে না ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাস। এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নানা উপকরণ দিয়ে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করে ২১ ফেব্রুয়ারির দিন শ্রদ্ধা জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম জানান, আমি উপজেলা সমন্বয় মিটিং সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেছি। আলোচনা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রয়েছে শহিদ মিনার নির্মাণে কার্যকর কোন ভূমিকা নেই কারো। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার জানান, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার থাকা দরকার তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নেই তারা অস্থায়ীভাবে শহিদ মিনার তৈরি করে একুশে ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অর্থায়নে শহিদ মিনার নির্মাণের। তবে এই নির্দেশনা কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই মানছে না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button