আশাহত হতে চলছে বাকেরগঞ্জবাসী; চলছে লুটপাট নৈরাজ্য!
।।এসএম জুয়েল রানা ।।
দীর্ঘবঞ্চনার শিকার বাকেরগঞ্জ উপজেলাবাসী নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলো। কিন্তু স্বপ্নভঙ্গের কারণে আশাহত হতে চলছে এই উপজেলার সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য মেজর জেনারেল (অবঃ) ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হাফিজ মল্লিক এমপি কে নিয়ে এই অবহেলিত উপেজলার সাধারণ মানুষের স্বপ্ন ছিলো দীর্ঘ দিনের। সেই স্বপ্ন পূরণের জন্যবুকভরা আশা নিয়ে তাকে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত করেছেন। উপজেলার রাঘববোয়ালমার্কা নেতা এবং তাদের অনুসারিরা উঠেপড়ে লেগে বিরোধীতা করেছেন কিন্তু ভাগ্যবিরম্বিত সাধারণ মানুষ হাফিজ মল্লিক কে নির্বাচিত করেছেন। ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে ষড়যন্ত্রের দানবীয় রক্তচক্ষু উপেক্ষা এবং নানা প্রতিকুলতা মোকাবেলা করতে হয়েছে সাধারণ মানুষের।
হাফিজ মল্লিক এমপি নির্বাচিত হলে বঞ্চিত মানুয়ের স্বপ্ন আরো দীর্ঘায়িত হতে থাকে। কিন্তু ”আশায় গুড়েবালি”! কিছুদিন দুর্নীতিবাজরা ঘাপটি মেরে থেকে ফের পুরনো রূপে প্রকাশ্যে এসেছে। শুরু হয়েছে লুটপাট-নৈরাজ্য। মনে হচ্ছে আগের সেই মগেরমুল্লুক!
আজ ১৭ মার্চ উপজলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের কালীগঞ্জ বাজারে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হয়। সেখানে চলে লুটপাট! মুসরি ডালের প্যাকেট খুলে ২০০ গ্রাম করে রেখে দেয়া হয়। এছাড়া ১০ কেজি চাউল থেকে আধা কেজি করে চাউল কম দেয়া হয়েছে। এই লুটপাটে স্থানীয় একটি দুৃর্বৃত্তচক্র জড়িত থাকায়
ঠকবাজীর শিকার ভোক্তারা কিংবা অন্য এই অপকর্মের প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি।
অপরিদেক. ভিজিডি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চাউল বিতরণে চলছে ব্যাপক লুটপাট। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের প্রায় সকল ডিলার পুরনো লুটপাট অব্যাহত রেখেছে। অবাক করা বিষয় হচ্ছে- দুর্বৃত্তরা লুটপাটের ব্যাপকতা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে- আগে উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কার্যালয়, উপজেলার খাদ্যগুদাম কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডিলার এবং স্থানীয় দুর্বৃত্তচক্র লুটপাট অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলো। কিন্তু পরিবর্তীত প্রেক্ষাপটে ‘এমপি হাফিজ মল্লিকের কঠোর ন্যায়নিষ্ঠতার বরাত দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে খাদ্যনিয়ন্ত্রক কার্যালয়, উপজেলার খাদ্যগুদাম কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বঞ্চিত করে বস্তা সহ ৩০ কেজি ২০০ গ্রাম চাউল আদায় করে নিয়েছে। ডিলার এবং দুর্বৃত্তচক্র মিলে সরকারি কর্মকর্তাদের নিকট থেকে কড়ায়গণ্ডায় আদায় করে নিয়েছে ।
বিস্ময়কর বিষয় হচছে- তাতে উল্টো ভোক্তাদের ক্ষতির পরিমান আরো বেড়েছে!
সূত্রমতে, এর আগে ৩০ কেজির বদলে ২৮ কেজি চাউল দেয়া হতো ভোক্তাদের। কিন্তু এবার দেয়া হচ্ছে ২৫/২৬কেজি। অর্থাৎ আগের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি ঠকানো হচ্ছে। এতে লুটেরা দুর্বৃত্তদের ”সোনায় সোহাগা” অবস্থা।
(পাদটীকা : কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত/বক্তব্য সংবাদের বাকী অংশে প্রকাশ করা হবে।)